Breaking News
recent

সেক্স অডিশন

সেক্স অডিশন


রাত ১১টা । আয়নার সামনে বসে আগামি দিন গুলির কথাই ভাবছিলো ঐন্দ্রিলা । মিস ঐন্দ্রিলা সেন , বাংলা সিনেমার অন্যতম নায়িকা । এক সময়ের বহু যুবকের হৃদয় কাঁপানো নায়িকা আজ জীবনের চরম মুহূর্তের সামনে দাঁড়িয়ে ভাবছিল কি করা উচিত তার। মিঃ আগরওয়াল এর প্রস্তাব মেনে নিলে তার জীবনে আর কোন চিন্তা থাকবেনা । কিন্তু এই প্রস্তাব তার পক্ষে মেনে নেওয়া কি সম্ভব? তাঁকে যে চরম অবমাননার সম্মুখীন হতে হবে তাহলে ।
বছর দশ আগে।


“ স্যার, প্লিজ স্যার, একটু দেখুন না । আমি অনেক দূর থেকে আসছি । এই অডিশন টার জন্য অনেক দিন ধরে অপেক্ষা করছিলাম । অভিনয় আমার স্বপ্ন স্যার , আমায় একটা চান্স দিন প্লিজ । আমি ঠিক পারবো ।” – ঐন্দ্রিলা র কন্ঠে ঝরে পরে চরম আকুতি ।
“ তুমি কি পারবে আর পারবে না সেটা দেখার লোক তো আমি নই , যিনি পরিচালক তিনি যদি তোমায় চান্স না দেন তো আমার কি করার আছে ? তুমি বরং অন্য কোথাও ট্রাই কর ।” – একটা সিগারেট ধরিয়ে বললেন মিঃ সেন ।
“ কিন্তু স্যার আমার এই কাজটা করার খুব ইচ্ছে ছিল । মানে , স্যার , এত বড়ো কাজ , অন্তত একটা সাইড রোলও যদি পেতাম ।” “ দেখো , প্রথম কথা যে এটাতে একটা অডিশন হচ্ছে বটে কিন্তু সেটা নিতান্তই লোক দেখানো ব্যাপার । প্রযোজক মশাই আগেই বলে দিয়েছিলেন কে নায়িকা হবে । আর দু-একটা সাইড রোল তাও তো মোটামুটি ঠিক করাই ছিল ।“ এক মুখ ধোঁয়া ছেড়ে বললেন মিঃ সেন । “ তাহলে স্যার অডিশন –” , “ আরে দুর বাবা, মাথা ধরিয়ে দিলে তো বকে বকে , বললাম তো ওটা এমনিই লোক দেখানো ব্যাপার । এখন বিদায় হও তো ।” বলে মোবাইলে ব্যস্ত হয়ে পরলেন ।
মন খারাপ করে একটা গাছের তলায় বসে পরলো ঐন্দ্রিলা । অনেক আশা নিয়ে এসেছিল যে হয়তো একটা ছান্সে হয়ে যাবে, কিন্তু ………
মিঃ অনন্ত সেন , পরিচালক সুহৃদ গাঙ্গুলীর অন্যতম সহকারী , এছাড়া অন্যান্য বিষয়ে ও আছেন । ইন্ডাস্ট্রির মেয়েমহলে সুনাম ও দুর্নাম দুটোই অর্জন করেছেন । অবশ্য সুনাম টা শুধু মাত্র কিছু বিশেষ মেয়ে দের কাছেই ।

ঐন্দ্রিলা কে তিনি আজ প্রথম থেকেই দেখেছিলেন । মেয়েটার মুখে একটা গ্রাম্য সরলতা আছে , হয়তো বা কোন মফস্বল অঞ্চলে বাড়ি। তিনি তখন ই জানতেন যে আজ বাইরের কেউই চান্স পাবে না । প্রযোজক রমেশ বাবু র আদেশ দেওয়াই ছিল যে নায়িকা হবে নন্দিতা । মেয়ে টা বুদ্ধিমতী । প্রথম থেকেই রমেশের চোখে পরেছে । এমন কী তিনি জানেন যে গতমাস থেকেই রমেশের নিয়মিত শয্যাসঙ্গিনী নন্দিতা । এছাড়া আরও অনেকের ঠাপ খেয়েছে সে । তিনি ও সেই দলেই পরেন । তবে আজ ঐন্দ্রিলা কে দেখে তার মাথায় একটা মতলব এসেছে । যদি ঠিকঠাক নামানো যায় ব্যাপার টা , ভাবতেই তার মনে আনন্দের জোয়ার আসে ।
“ কি ব্যাপার এখনো বসে ? বাড়ি যাবে না ?” অনেকক্ষণ থেকেই লক্ষ্য করছিলেন ঐন্দ্রিলা কে , এবার সামনে এসে জানতে চাইলেন অনন্তবাবু । ভাবলেন মেয়েটাকে একটু বাজিয়ে দেখা যাক । প্রয়োজনে কত দূর জেতে পারে এই মেয়ে ?
“স্যার, কি আর করবো বলুন । বড়ো আশা নিয়ে এসেছিলাম যে কিছু একটা হয়তো হবে , কিছু ই তো হলো না । বাড়ীর অবস্থা খুব খারাপ । বাবা মারা যাবার পর তো আরওই খারাপ । ভাই টা একটা দোকানে কাজ করছে , কিন্তু তাতে আর কতটুকুই বা চলে ।” নিজের মনেই বলে চলেছে ঐন্দ্রিলা – “ এই কাজটা পেলে কিছুটা সুরাহা হতো । তাও তো গেলো , এখন কি যে করি ।”
“ আমাকে একজন একটা কাজের কথা বলেছিল , একটা নতুন কোম্পানি নতুন মুখ খুঁজছে , ওদের কি সব নতুন প্রোডাক্টের জন্য মডেল চাইছে । তুমি কি করতে চাও ? তাহলে আমি কথা বলে দেখতে পারি ।”
“ হ্যাঁ স্যার , আমি রাজি আছি । কিন্তু কাজ টা ঠিক কি , মানে কি করতে হবে আমায় ?”
“ ওই ওদের প্রোডাক্ট গুলোর বিজ্ঞাপনের জন্য মডেল হতে হবে । আসলে ওরা বাজার থেকে মডেল ভাড়া করে না । ওদের নিজস্ব মডেলরাই ওদের অ্যাড গুলো করে । নতুন কিছু প্রোডাক্ট এবার বার করতে চলেছে ওরা , তাই নতুন মডেল চাইছে । কোম্পানী টা আসলে আমার একটা বন্ধুর । ওই আমাকে বলেছিল কিছু নতুন মেয়ে পাঠাতে । তা তুমি যদি রাজি থাক তাহলে আমি কথা বলতে পারি ।”
“ আচ্ছা স্যার আমি রাজি । আপনি একটু বলে দেখুন তাহলে ।”
অনন্ত বাবু একটু সরে গিয়ে মোবাইলে বার করলেন , অর্ণব কে একটা কল করতে হবে । ওকে ছাড়া এই কাজটা নামানো যাবেনা । ওপাশে রিং হচ্ছে , আড়চোখে দেখে নিলেন ঐন্দ্রিলা কে, তারপর একটু গলা নামিয়ে বললেন , “ অর্ণব , শোনো একটা ভালো মাল আছে, একটু খেলিয়ে তুলতে হবে । ঠিকমতো তুলতে পারলে , একটা ভাল দাঁও মারা যাবে । আমি তোমার ঠিকানা টা দিয়ে দিচ্ছি , আর দুদিন পরে , মানে রোববারে তোমার ওখানে যেতে বলছি । তুমি সবকিছু রেডি করে রেখো । আর ঘর টাও তৈরী করে রেখো ।”
ওপাশ থেকে অর্ণবের উল্লাসিত গলা ভেসে এলো , “ ওঃ অনন্ত দা , তুমি পারো বটে । এতো নতুন মাল পাও কোত্থেকে বলোতো ?”
“ দাঁড়াও দাঁড়াও , চেঁচিও না । আর আমাদের স্পেশাল জিনিস গুলোও রেডি রেখো । তাহলে ওই কথাই রইলো । রোববার সকাল এগারোটা । বাই ।”
ফোনটা রেখে এগিয়ে এলেন মিঃ সেন , “ কথা হয়ে গেছে , তোমাকে রোববার সকাল এগারোটার সময় যেতে হবে । কোম্পানীর সিইও নিজে থাকবেন অডিশনের সময় ।”
“স্যার কি বলে যে আপনাকে ধন্য—”
“ দরকার নেই । ভালো কথা, তোমার প্রোফাইল টা একবার দেখাও তো ”
“ এই যে স্যার ” বলে ঐন্দ্রিলা এগিয়ে দিল তার হাতের ফাইলটা । ওটাতেই তার নাম ঠিকানা ছাড়াও কোয়ালিফিকেশন গুলো ও লেখা আছে । আর যেটা আছে তা হলো বিভিন্ন ভঙ্গিমায় তোলা তার কিছু ছবি । সেক্স অডিশন অডিশনের জন্য ওগুলোই লাগে সব জায়গায় ।
“ এতো সবই দেখছি গলা থেকে পা অব্দি ঢাকা ছবি , একটা সেমি ওপেন ছবিও তো নেই ।” ফাইলের পাতা ওলটাতে ওলটাতে বললেন অনন্ত বাবু , “ মডেলিং এর অডিশনে তো এই ছবি চলবে না, তোমার কোন বডি ওপেন ড্রেস নেই?”
“ স্যার , তা তো স্যার নেই, তবে বললে জোগাড় করতে পারি ।”
“ তাহলে দ্যাখো চেষ্টা করে, আর হ্যাঁ কিছু বিকিনি ফটোও লাগবে । অবশ্য সেগুলো আমাদের স্টুডিও তেই হয়ে যাবে ।”
“ স্যার , বিকিনি — ”সেক্স অডিশন
“ আরে বাবা , এতে আর এমনকি আছে ? এখনতো ন্যুড মডেলিং ও হয় । তোমার আর এতো কিছু ভাবার নেই । ওগুলো করার জন্য আমাদের অন্য মডেল আছে ।” পাতা ওলটাতে ওলটাতে বললেন মিঃ সেন –“ আর তোমার ভাইটাল স্ট্যাটিস্টিক তাও তো নেই এখানে , ওটাতো লাগবেই । কতো তোমার ভি.এস. ?” বলতে বলতে অভিজ্ঞ চোখে একবার ঐন্দ্রিলা কে মাথা থেকে পা অব্দি দেখে নিলেন , শরীরের বাঁক গুলো বেশ ভালই ফুটে উঠেছে টপ আর জিন্সের প্যান্টের ভেতর দিয়ে। ৩৪সি – ২৮ – ৩৬ তো হবেই । ভেতরে বোধহয় পুশ আপ ব্রা পরেছে, মাই এর ভাঁজ টা পরিস্কার দেখা যাচ্ছে । জিন্স টাও টাইট। পাছাটাও পরিস্ফুট হয়ে আছে ।
“ ৩৪ – ২৯ – ৩৬, স্যার ।” মাথা নামিয়ে অস্ফুটে বললো ঐন্দ্রিলা ।
“ আচ্ছা , তাহলে ওই কথাই রইল । রোববার সকাল এগারোটা । আমিও থাকব ওখানে । এই রাখো কোম্পানির কার্ড । আমার মোবাইল নম্বর টা পিছনে লেখা আছে । সেক্স অডিশন
“ ঠিক আছে স্যার, কিন্তু—” ইতঃস্তত করে ঐন্দ্রিলা ।
“ কি হলো ? আপত্তি আছে কিছু ? তাহলে এখনই বলো ।”
“ না স্যার । আমি যাবো ।”
“ঠিক আছে । আমি আসি এখন ।” ভাবতে লাগলেন অনন্ত বাবু । আঃ অনেক দিন পরে নতুন মেয়ে পেলেন , এবার সাবধানে খেলতে হবে । প্রথমে অডিশন , তারপর ফটোশুট , তারপর একবার ওই মেয়েকে তার পারসোনাল চেম্বারে ঢোকাতে পারলেই , ওঃ । ভাবতেই ওনার বাঁড়া শক্ত হতে শুরু করেছে । মেয়েটার বুক গুলো ওনাকে খুব টানছিল, কি নরম স্পঞ্জের মতো । কতদিন যে কচি মাগী পাননি । এর আগের মেয়ে গুলোকে মনে পরছে। অনেকেই আজ মডেল ইন্ডাস্ট্রি তে সফল ভাবে প্রতিষ্ঠিত ।

এখনো মাঝে মাঝে তাদের শরীরের উত্তাপ এনজয় করেন তিনি । মাঝে মাঝে পুরনো রেকর্ড করা ভিডিয়ো গুলোও চালিয়ে দেখেন । অনুভব করেন সেই সব অনভিজ্ঞ মেয়েদের সঙ্গে যৌন মিলন । অনেকেরই যৌনতার হাতেখড়ি তার কাছে । কতো মেয়ের কুমারীত্ব যে তিনি হরণ করেছেন । অবশ্য তিনি একা নন , তাঁকে সঙ্গ দিয়েছে অর্ণব এবং আরও অনেকে । আলাদা করে চেম্বারে তো বটেই , এমনকি একসঙ্গে দুজন মিলেও অনেককে চুদেছেন

1 comment:

  1. এর পরবর্তী অংশটা কোথায়?

    ReplyDelete

Powered by Blogger.